Your cart is currently empty!

কি কি কারনে আলুর বিভিন্ন রোগের কারন ও তার প্রতিকার
আলুর বিভিন্ন রোগ সাধারণত ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অনুকূল পরিবেশের কারণে হয়। নিচে আলুর প্রধান রোগগুলোর কারণ এবং সঠিক প্রতিকার দেওয়া হলো:
১. লেট ব্লাইট (পোড়া রোগ)
কারণ:
- ছত্রাকজনিত রোগ (Phytophthora infestans)।
- বেশি ঠাণ্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়া (১৫-২০°C তাপমাত্রা ও উচ্চ আর্দ্রতা) এ রোগ ছড়ায়।
লক্ষণ: - পাতা, কান্ড ও গাছের বিভিন্ন অংশে কালচে-বাদামি দাগ পড়ে।
- দাগের চারপাশে পানির মতো নরম দাগ দেখা যায়।
প্রতিকার:
- রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন।
- জমিতে পানি জমতে দেবেন না।
- ম্যানকোজেব, রিডোমিল গোল্ড বা ডাইথেন এম-৪৫ স্প্রে করুন।
- প্রথম স্প্রে রোগ দেখা দেওয়ার আগে এবং ৭-১০ দিন পরপর স্প্রে চালিয়ে যান।
২. আরলি ব্লাইট (পাতার দাগ রোগ)
কারণ:
- ছত্রাক (Alternaria solani)।
- বেশি তাপমাত্রা ও খরার সময় এই রোগ দেখা দেয়।
লক্ষণ: - পাতায় ছোট গোলাকার দাগ পড়ে।
- দাগগুলো বড় হয়ে শুকিয়ে যায় এবং পাতা ঝরে পড়ে।
প্রতিকার:
- জমিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
- ডাইথেন এম-৪৫ বা ব্লাইটক্স ৫০ স্প্রে করুন।
৩. কান্ড পচা রোগ
কারণ:
- ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া।
- বেশি সেচ দেওয়া বা পানি জমে থাকা জমিতে রোগ হয়।
লক্ষণ: - গাছের কান্ড নরম হয়ে পচে যায়।
- রোগ দ্রুত গাছ থেকে গাছে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিকার:
- জমিতে পানি জমতে দেবেন না।
- ছত্রাকনাশক যেমন কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা ব্যবহার করুন।
৪. পটেটো ভাইরাস ওয়াই (PVY)
কারণ:
- ভাইরাস (PVY) পোকামাকড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।
লক্ষণ: - পাতায় হলুদ বা সবুজ দাগ দেখা দেয়।
- গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।
- ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়।
প্রতিকার:
- রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন।
- ভাইরাসবাহিত পোকা যেমন অ্যাফিড দমন করুন।
- রোগাক্রান্ত গাছ তুলে ফেলে দিন।
৫. কন্দ পচা রোগ
কারণ:
- ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া।
- বেশি আর্দ্রতা বা আলু সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে হয়।
লক্ষণ: - আলুর কন্দ নরম হয়ে পচে যায়।
- দুর্গন্ধ বের হয়।
প্রতিকার:
- ফসল কাটার পর শুকনা ও ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।
- সংগ্রহের আগে জমি ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- রোগমুক্ত বীজ: স্বাস্থ্যকর বীজ আলু ব্যবহার করুন।
- জমির পরিচ্ছন্নতা: আগাছা পরিষ্কার রাখুন এবং ফসল চক্র অনুসরণ করুন।
- সঠিক সেচ: জমিতে পানি জমতে দেবেন না।
- ছত্রাকনাশক প্রয়োগ: প্রাথমিক পর্যায়েই প্রতিকারমূলক ছত্রাকনাশক স্প্রে করুন।
- পোকা দমন: রোগবাহী পোকা দমন করতে ম্যালাথিয়ন বা ইমিডাক্লোপ্রিড ব্যবহার করুন।
আপনার জমিতে কোনো বিশেষ রোগ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিন।
তথ্য সংযোযনে আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও কৃষি তথ্য সার্ভিস

কি কি কারনে আলুর বিভিন্ন রোগের কারন ও তার প্রতিকার
আলুর বিভিন্ন রোগ সাধারণত ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অনুকূল পরিবেশের কারণে হয়। নিচে আলুর প্রধান রোগগুলোর কারণ এবং সঠিক প্রতিকার দেওয়া হলো:
১. লেট ব্লাইট (পোড়া রোগ)
কারণ:
- ছত্রাকজনিত রোগ (Phytophthora infestans)।
- বেশি ঠাণ্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়া (১৫-২০°C তাপমাত্রা ও উচ্চ আর্দ্রতা) এ রোগ ছড়ায়।
লক্ষণ: - পাতা, কান্ড ও গাছের বিভিন্ন অংশে কালচে-বাদামি দাগ পড়ে।
- দাগের চারপাশে পানির মতো নরম দাগ দেখা যায়।
প্রতিকার:
- রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন।
- জমিতে পানি জমতে দেবেন না।
- ম্যানকোজেব, রিডোমিল গোল্ড বা ডাইথেন এম-৪৫ স্প্রে করুন।
- প্রথম স্প্রে রোগ দেখা দেওয়ার আগে এবং ৭-১০ দিন পরপর স্প্রে চালিয়ে যান।
২. আরলি ব্লাইট (পাতার দাগ রোগ)
কারণ:
- ছত্রাক (Alternaria solani)।
- বেশি তাপমাত্রা ও খরার সময় এই রোগ দেখা দেয়।
লক্ষণ: - পাতায় ছোট গোলাকার দাগ পড়ে।
- দাগগুলো বড় হয়ে শুকিয়ে যায় এবং পাতা ঝরে পড়ে।
প্রতিকার:
- জমিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
- ডাইথেন এম-৪৫ বা ব্লাইটক্স ৫০ স্প্রে করুন।
৩. কান্ড পচা রোগ
কারণ:
- ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া।
- বেশি সেচ দেওয়া বা পানি জমে থাকা জমিতে রোগ হয়।
লক্ষণ: - গাছের কান্ড নরম হয়ে পচে যায়।
- রোগ দ্রুত গাছ থেকে গাছে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিকার:
- জমিতে পানি জমতে দেবেন না।
- ছত্রাকনাশক যেমন কার্বেন্ডাজিম বা ট্রাইকোডার্মা ব্যবহার করুন।
৪. পটেটো ভাইরাস ওয়াই (PVY)
কারণ:
- ভাইরাস (PVY) পোকামাকড়ের মাধ্যমে ছড়ায়।
লক্ষণ: - পাতায় হলুদ বা সবুজ দাগ দেখা দেয়।
- গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।
- ফলন মারাত্মকভাবে কমে যায়।
প্রতিকার:
- রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন।
- ভাইরাসবাহিত পোকা যেমন অ্যাফিড দমন করুন।
- রোগাক্রান্ত গাছ তুলে ফেলে দিন।
৫. কন্দ পচা রোগ
কারণ:
- ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া।
- বেশি আর্দ্রতা বা আলু সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে হয়।
লক্ষণ: - আলুর কন্দ নরম হয়ে পচে যায়।
- দুর্গন্ধ বের হয়।
প্রতিকার:
- ফসল কাটার পর শুকনা ও ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।
- সংগ্রহের আগে জমি ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
সাধারণ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
- রোগমুক্ত বীজ: স্বাস্থ্যকর বীজ আলু ব্যবহার করুন।
- জমির পরিচ্ছন্নতা: আগাছা পরিষ্কার রাখুন এবং ফসল চক্র অনুসরণ করুন।
- সঠিক সেচ: জমিতে পানি জমতে দেবেন না।
- ছত্রাকনাশক প্রয়োগ: প্রাথমিক পর্যায়েই প্রতিকারমূলক ছত্রাকনাশক স্প্রে করুন।
- পোকা দমন: রোগবাহী পোকা দমন করতে ম্যালাথিয়ন বা ইমিডাক্লোপ্রিড ব্যবহার করুন।
আপনার জমিতে কোনো বিশেষ রোগ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিন।
তথ্য সংযোযনে আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও কৃষি তথ্য সার্ভিস
Search
Popular Posts
ধান গাছে থোড় আসার আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করার গুরুত্ব কি?
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সঠিক সময়ে পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, থোড় আসার ৭ দিন আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করা হলে গাছের বৃদ্ধি উন্নত হয় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়। এখানে থোড় আসার আগে স্প্রে করার কারণ ও প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। থোড় আসার আগে স্প্রে করার প্রয়োজনীয়তা ১. রোগ ও পোকার…
সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
১. সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে? সার হলো উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহকারী পদার্থ। এটি মাটিতে পুষ্টি যোগ করে, যা গাছ শোষণ করে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো উপাদান গাছের বৃদ্ধি, ফলন ও শিকড় শক্তিশালী করে। এটি মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ২. প্রাকৃতিক সার ও রাসায়নিক সারের মধ্যে পার্থক্য কী? প্রাকৃতিক সার জৈব উৎস (গোবর, কম্পোস্ট)…
আলু গাছের স্প্রে করার নিয়ম কি কি ?
আলু গাছকে রোগ ও পোকামাকড় থেকে সুরক্ষিত রাখতে স্প্রে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়ম মেনে স্প্রে করলে গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদন বাড়ে।স্প্রে করার সঠিক পদ্ধতি:গাছের কান্ড ও পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করুন:স্প্রেয়ার ব্যবহার করে এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যাতে গাছের প্রতিটি অংশ ভিজে যায়।সকালে বা বিকালে স্প্রে করুন:দিনের ঠান্ডা সময় স্প্রে করা উচিত, যাতে…
Leave a Reply