Your cart is currently empty!

আলু চাষে সঠিক সার ব্যবস্থাপনা কি ?
আলু চাষে সঠিক সার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আলু একটি পুষ্টির চাহিদা সম্পন্ন ফসল। সার ব্যবস্থাপনা না হলে আলুর উৎপাদন কমে যেতে পারে এবং গুণমানেও পতন ঘটতে পারে। আলু চাষে সার ব্যবস্থাপনা প্রধানত তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায়: প্রাথমিক সার (বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও মাটি প্রস্তুতি), গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে সার প্রয়োগ, এবং ফলন পর্যায়ে সার প্রয়োগ।
১. প্রাথমিক সার (বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও মাটি প্রস্তুতি)
আলু চাষ শুরু করার আগে মাটির পুষ্টি অবস্থা পরীক্ষা করা উচিত। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে কী কী পুষ্টির অভাব রয়েছে, তা জানা যায় এবং সেভাবে সার প্রয়োগ করা হয়।
- নাইট্রোজেন (N): আলু চাষে নাইট্রোজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গাছের সবুজ অংশের বৃদ্ধি বৃদ্ধি করে।
- ফসফরাস (P): আলু গাছের শিকড়ের বিকাশ ও ফুলের উৎপাদনে সাহায্য করে। মাটিতে ফসফরাসের অভাব হলে আলুর ফলন কমে যায়।
- পটাশ (K): আলুর উৎপাদন এবং গুণমান বৃদ্ধিতে পটাশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে সার প্রয়োগ
আলু গাছের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সার প্রয়োগ করতে হয়। সাধারণত দুটি প্রধান পর্যায় থাকে:
- জমি প্রস্তুতির সময় (প্রথম সার প্রয়োগ):
- প্রতি একর জমিতে ১৫০ কেজি ডিএপি (ডায়ামোনিয়াম ফসফেট) এবং ৫৫ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করা যায়। মাটি গঠন অনুযায়ী নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের সমন্বয়ে সার প্রয়োগ করুন।
- গাছের বৃদ্ধির সময় (দ্বিতীয় সার প্রয়োগ):
- ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যেতে পারে, কারণ এতে নাইট্রোজেন থাকে, যা গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। তবে ২৫-৩০ দিন পর সার প্রয়োগ করা উচিত। একর প্রতি ৫০ কেজি ইউরিয়া দেওয়া যায়।
৩. ফলন পর্যায়ে সার প্রয়োগ
ফলন তৈরি হওয়ার সময় সার প্রয়োগ করা হলে আলুর আকার ও গুণমান বৃদ্ধি পায়। গাছের ফলন বৃদ্ধির সময় পটাশ সার প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- ফসলের বৃদ্ধির পর (ফলন বৃদ্ধি):
- প্রতি একর জমিতে ১০০ কেজি সিওপিএস (সুপারফসফেট) ও ৫০ কেজি পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। এটি আলুর গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করবে।
৪. জৈব সার
জৈব সার যেমন গোবর সার, কম্পোস্ট ইত্যাদি আলু চাষে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি মাটির উর্বরতা উন্নত করে এবং মাটির কাঠামো ও পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। একর প্রতি ৫-১০ টন গোবর সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৫. সার প্রয়োগের সময়সূচী
- প্রাথমিক সার: জমি প্রস্তুতির সময়
- গাছের বৃদ্ধির সময়: ২৫-৩০ দিন পর
- ফলন পর্যায়ে: ফুল বা ফলন গঠনের সময়
৬. অতিরিক্ত সার প্রয়োগের ক্ষতি
অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করলে আলু গাছের রুট সিস্টেমে সমস্যা হতে পারে এবং আলুর শিকড় পচে যেতে পারে। অতিরিক্ত নাইট্রোজেনের কারণে গাছের লতাপাতা বেড়ে যেতে পারে কিন্তু আলুর ফলন কমে যায়।
৭. মাটি পরীক্ষা
সারের ব্যবস্থাপনা করার আগে মাটি পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে এবং সেভাবে সারের প্রয়োগ নির্ধারণ করতে পারবেন।
এভাবে সঠিক সার ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োগ করলে আলুর ফলন ও গুণমান উন্নত হবে এবং জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে।

আলু চাষে সঠিক সার ব্যবস্থাপনা কি ?
আলু চাষে সঠিক সার ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আলু একটি পুষ্টির চাহিদা সম্পন্ন ফসল। সার ব্যবস্থাপনা না হলে আলুর উৎপাদন কমে যেতে পারে এবং গুণমানেও পতন ঘটতে পারে। আলু চাষে সার ব্যবস্থাপনা প্রধানত তিনটি স্তরে বিভক্ত করা যায়: প্রাথমিক সার (বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও মাটি প্রস্তুতি), গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে সার প্রয়োগ, এবং ফলন পর্যায়ে সার প্রয়োগ।
১. প্রাথমিক সার (বীজ প্রক্রিয়াকরণ ও মাটি প্রস্তুতি)
আলু চাষ শুরু করার আগে মাটির পুষ্টি অবস্থা পরীক্ষা করা উচিত। মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে কী কী পুষ্টির অভাব রয়েছে, তা জানা যায় এবং সেভাবে সার প্রয়োগ করা হয়।
- নাইট্রোজেন (N): আলু চাষে নাইট্রোজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি গাছের সবুজ অংশের বৃদ্ধি বৃদ্ধি করে।
- ফসফরাস (P): আলু গাছের শিকড়ের বিকাশ ও ফুলের উৎপাদনে সাহায্য করে। মাটিতে ফসফরাসের অভাব হলে আলুর ফলন কমে যায়।
- পটাশ (K): আলুর উৎপাদন এবং গুণমান বৃদ্ধিতে পটাশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে সার প্রয়োগ
আলু গাছের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সার প্রয়োগ করতে হয়। সাধারণত দুটি প্রধান পর্যায় থাকে:
- জমি প্রস্তুতির সময় (প্রথম সার প্রয়োগ):
- প্রতি একর জমিতে ১৫০ কেজি ডিএপি (ডায়ামোনিয়াম ফসফেট) এবং ৫৫ কেজি ইউরিয়া প্রয়োগ করা যায়। মাটি গঠন অনুযায়ী নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের সমন্বয়ে সার প্রয়োগ করুন।
- গাছের বৃদ্ধির সময় (দ্বিতীয় সার প্রয়োগ):
- ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যেতে পারে, কারণ এতে নাইট্রোজেন থাকে, যা গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। তবে ২৫-৩০ দিন পর সার প্রয়োগ করা উচিত। একর প্রতি ৫০ কেজি ইউরিয়া দেওয়া যায়।
৩. ফলন পর্যায়ে সার প্রয়োগ
ফলন তৈরি হওয়ার সময় সার প্রয়োগ করা হলে আলুর আকার ও গুণমান বৃদ্ধি পায়। গাছের ফলন বৃদ্ধির সময় পটাশ সার প্রয়োগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
- ফসলের বৃদ্ধির পর (ফলন বৃদ্ধি):
- প্রতি একর জমিতে ১০০ কেজি সিওপিএস (সুপারফসফেট) ও ৫০ কেজি পটাশ প্রয়োগ করতে হবে। এটি আলুর গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করবে।
৪. জৈব সার
জৈব সার যেমন গোবর সার, কম্পোস্ট ইত্যাদি আলু চাষে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি মাটির উর্বরতা উন্নত করে এবং মাটির কাঠামো ও পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। একর প্রতি ৫-১০ টন গোবর সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৫. সার প্রয়োগের সময়সূচী
- প্রাথমিক সার: জমি প্রস্তুতির সময়
- গাছের বৃদ্ধির সময়: ২৫-৩০ দিন পর
- ফলন পর্যায়ে: ফুল বা ফলন গঠনের সময়
৬. অতিরিক্ত সার প্রয়োগের ক্ষতি
অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করলে আলু গাছের রুট সিস্টেমে সমস্যা হতে পারে এবং আলুর শিকড় পচে যেতে পারে। অতিরিক্ত নাইট্রোজেনের কারণে গাছের লতাপাতা বেড়ে যেতে পারে কিন্তু আলুর ফলন কমে যায়।
৭. মাটি পরীক্ষা
সারের ব্যবস্থাপনা করার আগে মাটি পরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে এবং সেভাবে সারের প্রয়োগ নির্ধারণ করতে পারবেন।
এভাবে সঠিক সার ব্যবস্থাপনা ও প্রয়োগ করলে আলুর ফলন ও গুণমান উন্নত হবে এবং জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পাবে।
Search
Popular Posts
ধান গাছে থোড় আসার আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করার গুরুত্ব কি?
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সঠিক সময়ে পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, থোড় আসার ৭ দিন আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করা হলে গাছের বৃদ্ধি উন্নত হয় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়। এখানে থোড় আসার আগে স্প্রে করার কারণ ও প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। থোড় আসার আগে স্প্রে করার প্রয়োজনীয়তা ১. রোগ ও পোকার…
সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
১. সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে? সার হলো উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহকারী পদার্থ। এটি মাটিতে পুষ্টি যোগ করে, যা গাছ শোষণ করে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো উপাদান গাছের বৃদ্ধি, ফলন ও শিকড় শক্তিশালী করে। এটি মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ২. প্রাকৃতিক সার ও রাসায়নিক সারের মধ্যে পার্থক্য কী? প্রাকৃতিক সার জৈব উৎস (গোবর, কম্পোস্ট)…
আলু গাছের স্প্রে করার নিয়ম কি কি ?
আলু গাছকে রোগ ও পোকামাকড় থেকে সুরক্ষিত রাখতে স্প্রে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়ম মেনে স্প্রে করলে গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদন বাড়ে।স্প্রে করার সঠিক পদ্ধতি:গাছের কান্ড ও পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করুন:স্প্রেয়ার ব্যবহার করে এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যাতে গাছের প্রতিটি অংশ ভিজে যায়।সকালে বা বিকালে স্প্রে করুন:দিনের ঠান্ডা সময় স্প্রে করা উচিত, যাতে…
Leave a Reply