Your cart is currently empty!

ভুট্টা গাছের উন্নত বৃদ্ধি এবং সঠিক ফলন নিশ্চিত করতে সার এবং বালাইনাশক ব্যবহার
ভুট্টা গাছের উন্নত বৃদ্ধি এবং সঠিক ফলন নিশ্চিত করতে সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এখানে সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:
১. সার ব্যবহারের পদ্ধতি:
ভুট্টা গাছের জন্য সঠিক সার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার ব্যবহারে ৩টি প্রধান উপাদান থাকতে হবে: নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P), এবং পটাসিয়াম (K)।
- নাইট্রোজেন (N): নাইট্রোজেন গাছের শাখা-প্রশাখা এবং পাতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। প্রাথমিক অবস্থায় (বীজ রোপণের পর প্রথম ২০-৩০ দিন) নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ করা উচিত। এটি গাছকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
- প্রয়োগের পরিমাণ: প্রতি একর জমিতে প্রায় ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়।
- ফসফরাস (P): ফসফরাস গাছের শিকড়ের উন্নত বিকাশে সাহায্য করে এবং ফুল ও ফলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত বীজ রোপণের সময় প্রয়োগ করা উচিত।
- প্রয়োগের পরিমাণ: প্রতি একর জমিতে প্রায় ৫০-৬০ কেজি ডি-এমপি (ডায়ামনিয়াম ফসফেট) ব্যবহার করা যেতে পারে।
- পটাসিয়াম (K): পটাসিয়াম গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং ফলনের পরিমাণ বাড়ায়। এটি ফুল আসার পরে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
- প্রয়োগের পরিমাণ: প্রতি একর জমিতে ৫০-৭০ কেজি মিউরেট অব পটাশ প্রয়োগ করা উচিত।
সার প্রয়োগের সময়:
- বীজ রোপণের সময় সার প্রয়োগ করা যেতে পারে, তবে, সার প্রয়োগের পর মাটির ভালোভাবে মিশ্রিত হওয়া এবং সেচ দেওয়ার পর গাছের বৃদ্ধির জন্য সঠিক ফলন পাওয়া সম্ভব।
২. বালাইনাশক ব্যবহারের পদ্ধতি:
ভুট্টা গাছের রোগ এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করতে বালাইনাশক বা কীটনাশক প্রয়োগ করা দরকার। এটি গাছের বৃদ্ধি এবং ফলন নিরাপদ রাখতে সহায়ক।
- কীটনাশক:
- কীটনাশক ব্যবহারের সময়: যদি গাছে পোকার আক্রমণ ঘটে, বিশেষত পাতায় বা কাণ্ডে ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকে (যেমন থ্রিপস, লেডিবাগ বা কৃমি), তবে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
- প্রয়োগের পদ্ধতি: বাজারে বিক্রিত কীটনাশক যেমন “এমিডাক্লোরোপ্রিড”, “ক্লোরপিরিফোস” বা “মালাথিয়ন” ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির প্রয়োগ মূলত পাতায় স্প্রে করতে হয়।
- প্রতিরোধ: কীটনাশক প্রয়োগের পর, বৃষ্টির আগে বা পরে স্প্রে করা উচিত যাতে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
- রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ:
- ফাঙ্গাস ও ছত্রাক: ভুট্টায় ফাঙ্গাসজনিত রোগ যেমন ব্লাইট (Blight) বা ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমণ হতে পারে। এই রোগ প্রতিরোধে “কপার অক্সিচ্লোরাইড” বা “ব্লাইট কন্ট্রোল ফাঙ্গিসাইড” ব্যবহার করা উচিত।
- প্রতিরোধ: রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রথমে গাছগুলোকে পর্যবেক্ষণ করুন এবং রোগের লক্ষণ দেখলে দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন।
৩. সতর্কতা:
- বালাইনাশক ব্যবহারের সময়: বালাইনাশক প্রয়োগের পর গাছের ফল বা শস্য খাওয়ার আগে কমপক্ষে ৭-১০ দিন সময় দিতে হবে। এটি পণ্য নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।
- অতিরিক্ত সার ব্যবহারের বিপদ: অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করলে মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান অতিরিক্ত শোষিত হয়ে গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাই সার প্রয়োগের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ করা উচিত।
এই ধরণের সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ভুট্টার উন্নত ফলন এবং ভালো গাছের বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারেন।

ভুট্টা গাছের উন্নত বৃদ্ধি এবং সঠিক ফলন নিশ্চিত করতে সার এবং বালাইনাশক ব্যবহার
ভুট্টা গাছের উন্নত বৃদ্ধি এবং সঠিক ফলন নিশ্চিত করতে সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। এখানে সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো:
১. সার ব্যবহারের পদ্ধতি:
ভুট্টা গাছের জন্য সঠিক সার প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার ব্যবহারে ৩টি প্রধান উপাদান থাকতে হবে: নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P), এবং পটাসিয়াম (K)।
- নাইট্রোজেন (N): নাইট্রোজেন গাছের শাখা-প্রশাখা এবং পাতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। প্রাথমিক অবস্থায় (বীজ রোপণের পর প্রথম ২০-৩০ দিন) নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ করা উচিত। এটি গাছকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
- প্রয়োগের পরিমাণ: প্রতি একর জমিতে প্রায় ৮০-১০০ কেজি ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়।
- ফসফরাস (P): ফসফরাস গাছের শিকড়ের উন্নত বিকাশে সাহায্য করে এবং ফুল ও ফলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত বীজ রোপণের সময় প্রয়োগ করা উচিত।
- প্রয়োগের পরিমাণ: প্রতি একর জমিতে প্রায় ৫০-৬০ কেজি ডি-এমপি (ডায়ামনিয়াম ফসফেট) ব্যবহার করা যেতে পারে।
- পটাসিয়াম (K): পটাসিয়াম গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং ফলনের পরিমাণ বাড়ায়। এটি ফুল আসার পরে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
- প্রয়োগের পরিমাণ: প্রতি একর জমিতে ৫০-৭০ কেজি মিউরেট অব পটাশ প্রয়োগ করা উচিত।
সার প্রয়োগের সময়:
- বীজ রোপণের সময় সার প্রয়োগ করা যেতে পারে, তবে, সার প্রয়োগের পর মাটির ভালোভাবে মিশ্রিত হওয়া এবং সেচ দেওয়ার পর গাছের বৃদ্ধির জন্য সঠিক ফলন পাওয়া সম্ভব।
২. বালাইনাশক ব্যবহারের পদ্ধতি:
ভুট্টা গাছের রোগ এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধ করতে বালাইনাশক বা কীটনাশক প্রয়োগ করা দরকার। এটি গাছের বৃদ্ধি এবং ফলন নিরাপদ রাখতে সহায়ক।
- কীটনাশক:
- কীটনাশক ব্যবহারের সময়: যদি গাছে পোকার আক্রমণ ঘটে, বিশেষত পাতায় বা কাণ্ডে ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকে (যেমন থ্রিপস, লেডিবাগ বা কৃমি), তবে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
- প্রয়োগের পদ্ধতি: বাজারে বিক্রিত কীটনাশক যেমন “এমিডাক্লোরোপ্রিড”, “ক্লোরপিরিফোস” বা “মালাথিয়ন” ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির প্রয়োগ মূলত পাতায় স্প্রে করতে হয়।
- প্রতিরোধ: কীটনাশক প্রয়োগের পর, বৃষ্টির আগে বা পরে স্প্রে করা উচিত যাতে কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
- রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ:
- ফাঙ্গাস ও ছত্রাক: ভুট্টায় ফাঙ্গাসজনিত রোগ যেমন ব্লাইট (Blight) বা ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমণ হতে পারে। এই রোগ প্রতিরোধে “কপার অক্সিচ্লোরাইড” বা “ব্লাইট কন্ট্রোল ফাঙ্গিসাইড” ব্যবহার করা উচিত।
- প্রতিরোধ: রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রথমে গাছগুলোকে পর্যবেক্ষণ করুন এবং রোগের লক্ষণ দেখলে দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিন।
৩. সতর্কতা:
- বালাইনাশক ব্যবহারের সময়: বালাইনাশক প্রয়োগের পর গাছের ফল বা শস্য খাওয়ার আগে কমপক্ষে ৭-১০ দিন সময় দিতে হবে। এটি পণ্য নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।
- অতিরিক্ত সার ব্যবহারের বিপদ: অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করলে মাটি থেকে পুষ্টি উপাদান অতিরিক্ত শোষিত হয়ে গাছের ক্ষতি হতে পারে। তাই সার প্রয়োগের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ করা উচিত।
এই ধরণের সার এবং বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি ভুট্টার উন্নত ফলন এবং ভালো গাছের বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারেন।
Search
Popular Posts
ধান গাছে থোড় আসার আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করার গুরুত্ব কি?
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সঠিক সময়ে পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, থোড় আসার ৭ দিন আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করা হলে গাছের বৃদ্ধি উন্নত হয় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়। এখানে থোড় আসার আগে স্প্রে করার কারণ ও প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। থোড় আসার আগে স্প্রে করার প্রয়োজনীয়তা ১. রোগ ও পোকার…
সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
১. সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে? সার হলো উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহকারী পদার্থ। এটি মাটিতে পুষ্টি যোগ করে, যা গাছ শোষণ করে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো উপাদান গাছের বৃদ্ধি, ফলন ও শিকড় শক্তিশালী করে। এটি মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ২. প্রাকৃতিক সার ও রাসায়নিক সারের মধ্যে পার্থক্য কী? প্রাকৃতিক সার জৈব উৎস (গোবর, কম্পোস্ট)…
আলু গাছের স্প্রে করার নিয়ম কি কি ?
আলু গাছকে রোগ ও পোকামাকড় থেকে সুরক্ষিত রাখতে স্প্রে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়ম মেনে স্প্রে করলে গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদন বাড়ে।স্প্রে করার সঠিক পদ্ধতি:গাছের কান্ড ও পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করুন:স্প্রেয়ার ব্যবহার করে এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যাতে গাছের প্রতিটি অংশ ভিজে যায়।সকালে বা বিকালে স্প্রে করুন:দিনের ঠান্ডা সময় স্প্রে করা উচিত, যাতে…
Leave a Reply