Your cart is currently empty!

ভুট্টা চাষে আগাছা পরিষ্কার কিভাবে করবেন ?
ভুট্টা চাষে আগাছা পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি গাছের পুষ্টি গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে এবং জল শোষণ প্রক্রিয়াও প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। এখানে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি দেওয়া হলো:
১. হাল দিয়ে আগাছা পরিষ্কার:
গোলাকার হাল (Hand Weeder) ব্যবহার করে জমি থেকে আগাছা পরিষ্কার করা একটি প্রচলিত এবং কার্যকরী পদ্ধতি। এটি গাছের মূল বা শিকড়ের ক্ষতি না করে মাটি থেকে আগাছা সরাতে সহায়ক। গোলাকার হাল ব্যবহার করে মাটি কুঁচিয়ে আগাছাগুলো বের করে ফেলুন।
২. হাত দিয়ে আগাছা তুলে ফেলা:
হাত দিয়ে আগাছা তুলে ফেলা একটি সহজ এবং সরল পদ্ধতি, বিশেষ করে ছোট জমির জন্য। তবে, এটি শ্রমসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে। বিশেষভাবে ছোট ছোট আগাছা বা যেগুলো মেশিন দ্বারা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়, সেগুলি হাতে তুলে ফেলা উচিত।
৩. মালচিং (Mulching):
মালচিং একটি কার্যকরী পদ্ধতি যা জমির উপর পাতা, খড় বা অন্যান্য জৈব উপাদান পুঁতে দিয়ে আগাছার বৃদ্ধি রোধ করে। এটি মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং আগাছার বীজ নষ্ট হতে সাহায্য করে। বিশেষত, ভুট্টা গাছের ছোট অবস্থায় মালচিং ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. কীটনাশক বা আগাছানাশক ব্যবহার:
অবশ্যই, কোনো ধরনের আগাছা যদি খুব দ্রুত বাড়তে থাকে এবং আপনার শ্রম বা হাত দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব না হয়, তখন একটি উপযুক্ত আগাছানাশক (Herbicide) ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু সাধারণ আগাছানাশক যেমন গ্লাইফোসেট বা ট্রাইফ্লিউরালিন ব্যবহৃত হয়, তবে এটি ব্যবহারের আগে সঠিক নির্দেশাবলী মেনে চলা উচিত।
৫. প্রাথমিক পর্যায়ে আগাছা পরিষ্কার:
বীজ রোপণের পর এবং গাছ ছোট হওয়ার সময় আগাছা পরিষ্কার করা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়। এই সময়ে আগাছাগুলোর সংখ্যা কম থাকে এবং গাছের বৃদ্ধি ভালো থাকে।
৬. ফসলের পরবর্তী সময়ে আগাছা পরিষ্কার:
ফসলের পরবর্তী পর্যায়ে, যখন ভুট্টা গাছ বেশ বড় হয়ে উঠবে এবং ফল আসবে, তখন অতিরিক্ত আগাছা পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে গাছের পুষ্টি এবং জল শোষণ বাধাহীন থাকে, যার ফলে ফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
৭. জমি পরিবর্তন (Crop Rotation):
আগাছা কমাতে জমির চাষ পরিবর্তন বা ফসলের ঘূর্ণায়ন (Crop Rotation) করা একটিও গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করে আগাছার সংখ্যা কমানো যায়।
৮. অতিরিক্ত সেচের প্রয়োজনীয়তা কমানো:
যদি অতিরিক্ত জল জমে থাকে, তাহলে আগাছা বৃদ্ধি পেতে পারে। অতএব, সেচ ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালনা করা দরকার, যাতে জল জমে না থাকে এবং আগাছার বৃদ্ধি কম হয়।
এইসব পদ্ধতিতে আপনি নিয়মিতভাবে আগাছা পরিষ্কার করে ভুট্টা গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও উন্নত ফলন নিশ্চিত করতে পারেন।

ভুট্টা চাষে আগাছা পরিষ্কার কিভাবে করবেন ?
ভুট্টা চাষে আগাছা পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলি গাছের পুষ্টি গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে এবং জল শোষণ প্রক্রিয়াও প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। এখানে কিছু কার্যকরী পদ্ধতি দেওয়া হলো:
১. হাল দিয়ে আগাছা পরিষ্কার:
গোলাকার হাল (Hand Weeder) ব্যবহার করে জমি থেকে আগাছা পরিষ্কার করা একটি প্রচলিত এবং কার্যকরী পদ্ধতি। এটি গাছের মূল বা শিকড়ের ক্ষতি না করে মাটি থেকে আগাছা সরাতে সহায়ক। গোলাকার হাল ব্যবহার করে মাটি কুঁচিয়ে আগাছাগুলো বের করে ফেলুন।
২. হাত দিয়ে আগাছা তুলে ফেলা:
হাত দিয়ে আগাছা তুলে ফেলা একটি সহজ এবং সরল পদ্ধতি, বিশেষ করে ছোট জমির জন্য। তবে, এটি শ্রমসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে। বিশেষভাবে ছোট ছোট আগাছা বা যেগুলো মেশিন দ্বারা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়, সেগুলি হাতে তুলে ফেলা উচিত।
৩. মালচিং (Mulching):
মালচিং একটি কার্যকরী পদ্ধতি যা জমির উপর পাতা, খড় বা অন্যান্য জৈব উপাদান পুঁতে দিয়ে আগাছার বৃদ্ধি রোধ করে। এটি মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং আগাছার বীজ নষ্ট হতে সাহায্য করে। বিশেষত, ভুট্টা গাছের ছোট অবস্থায় মালচিং ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. কীটনাশক বা আগাছানাশক ব্যবহার:
অবশ্যই, কোনো ধরনের আগাছা যদি খুব দ্রুত বাড়তে থাকে এবং আপনার শ্রম বা হাত দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব না হয়, তখন একটি উপযুক্ত আগাছানাশক (Herbicide) ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু সাধারণ আগাছানাশক যেমন গ্লাইফোসেট বা ট্রাইফ্লিউরালিন ব্যবহৃত হয়, তবে এটি ব্যবহারের আগে সঠিক নির্দেশাবলী মেনে চলা উচিত।
৫. প্রাথমিক পর্যায়ে আগাছা পরিষ্কার:
বীজ রোপণের পর এবং গাছ ছোট হওয়ার সময় আগাছা পরিষ্কার করা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়। এই সময়ে আগাছাগুলোর সংখ্যা কম থাকে এবং গাছের বৃদ্ধি ভালো থাকে।
৬. ফসলের পরবর্তী সময়ে আগাছা পরিষ্কার:
ফসলের পরবর্তী পর্যায়ে, যখন ভুট্টা গাছ বেশ বড় হয়ে উঠবে এবং ফল আসবে, তখন অতিরিক্ত আগাছা পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে গাছের পুষ্টি এবং জল শোষণ বাধাহীন থাকে, যার ফলে ফলনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
৭. জমি পরিবর্তন (Crop Rotation):
আগাছা কমাতে জমির চাষ পরিবর্তন বা ফসলের ঘূর্ণায়ন (Crop Rotation) করা একটিও গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করে আগাছার সংখ্যা কমানো যায়।
৮. অতিরিক্ত সেচের প্রয়োজনীয়তা কমানো:
যদি অতিরিক্ত জল জমে থাকে, তাহলে আগাছা বৃদ্ধি পেতে পারে। অতএব, সেচ ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালনা করা দরকার, যাতে জল জমে না থাকে এবং আগাছার বৃদ্ধি কম হয়।
এইসব পদ্ধতিতে আপনি নিয়মিতভাবে আগাছা পরিষ্কার করে ভুট্টা গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও উন্নত ফলন নিশ্চিত করতে পারেন।
Search
Popular Posts
ধান গাছে থোড় আসার আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করার গুরুত্ব কি?
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সঠিক সময়ে পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, থোড় আসার ৭ দিন আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করা হলে গাছের বৃদ্ধি উন্নত হয় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়। এখানে থোড় আসার আগে স্প্রে করার কারণ ও প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। থোড় আসার আগে স্প্রে করার প্রয়োজনীয়তা ১. রোগ ও পোকার…
সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
১. সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে? সার হলো উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহকারী পদার্থ। এটি মাটিতে পুষ্টি যোগ করে, যা গাছ শোষণ করে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো উপাদান গাছের বৃদ্ধি, ফলন ও শিকড় শক্তিশালী করে। এটি মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ২. প্রাকৃতিক সার ও রাসায়নিক সারের মধ্যে পার্থক্য কী? প্রাকৃতিক সার জৈব উৎস (গোবর, কম্পোস্ট)…
আলু গাছের স্প্রে করার নিয়ম কি কি ?
আলু গাছকে রোগ ও পোকামাকড় থেকে সুরক্ষিত রাখতে স্প্রে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়ম মেনে স্প্রে করলে গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদন বাড়ে।স্প্রে করার সঠিক পদ্ধতি:গাছের কান্ড ও পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করুন:স্প্রেয়ার ব্যবহার করে এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যাতে গাছের প্রতিটি অংশ ভিজে যায়।সকালে বা বিকালে স্প্রে করুন:দিনের ঠান্ডা সময় স্প্রে করা উচিত, যাতে…
Leave a Reply