Your cart is currently empty!

আলুর ঢলে পড়া রোগ (Bacterial Wilt) সম্পর্কে কৃষকদের করণীয়
- ব্যাকটেরিয়া Ralstonia solanacearum ও Erwinia, এবং ছত্রাক Fusarium আলু গাছকে ঢলে পড়াতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
- আলু গাছ সবুজ অবস্থায় হঠাৎ ঢলে পড়ে।
- গাছের যে কোন বয়সে এ রোগ হতে পারে।
- গাছের কোন একটি শাখা বা অংশ ঢলে পড়তে পারে।
- কান্ডের নিম্নাংশ ও শিকড় অক্ষত থাকে।
- কান্ডের ভিতরে বাদামী বর্ণের পরিবহন কলা দেখা যায়।
- আক্রান্ত গাছের কান্ডে সাদা উজ (Ooze) বের হয়।
- সংরক্ষিত আলুর চোখে সাদা পুঁজ দেখা যায়।
- বীজ আলুর ক্ষেত্রে একর প্রতি ১ গাছ আক্রান্ত হলে বীজ সংগ্রহ করা যাবে না।
আবহাওয়ার উপযোগিতা:
- তাপমাত্রা ২৮°-৩০° সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮০-৯০% এই রোগের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে অনুকূল।
রোগের বিস্তার:
- এই ব্যাকটেরিয়া মাটিতে, আক্রান্ত আলু বা ফসলের অবশিষ্টাংশে বেঁচে থাকতে পারে এবং কৃষি যন্ত্রপাতি বা চারা সংলগ্ন মাটির মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
আগাম করণীয়:
- রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন।
- জমিতে শতকে ৪ কেজি ডলোচুন ও ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন।
- ধানশস্য বা অন্য কোনও ফসল থেকে সুস্থ বীজ সংগ্রহ করুন।
- বীজ আলু চাষের আগে জমি ভালভাবে প্রস্তুত করুন এবং অতিরিক্ত আর্দ্র জমিতে বীজ আলু চাষ থেকে বিরত থাকুন।
- টমেটো, বেগুন, মরিচ, তামাক ইত্যাদি জাতীয় ফসল চাষ না করুন।
রোগ আক্রান্ত হলে করণীয়:
- আক্রান্ত গাছগুলি দ্রুত তুলে পুড়িয়ে বা মাটির নিচে ফেলে দিন।
- সেচ প্রয়োগ বন্ধ করুন, প্রয়োজনে সেচের আগে বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত গাছ এবং আশেপাশের মাটি দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নষ্ট করুন।
- ব্লিচিং পাউডার প্রয়োগ করুন এবং সেচের সময় আক্রান্ত অংশ বাদ দিন।
- ভবিষ্যতে একই জমিতে আলু বা অন্য আক্রমণপ্রবণ ফসল চাষ করবেন না।
বালাইনাশক ব্যবহার:
- BioElin, Timsen, Bahas72SP, Plantomycine10SC ইত্যাদি বালাইনাশক স্প্রে করতে পারেন।
- কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন: Noyin, Autostin, Arba) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
এই নিয়মগুলি মেনে চললে আলুর ঢলে পড়া রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব।
4o mini

আলুর ঢলে পড়া রোগ (Bacterial Wilt) সম্পর্কে কৃষকদের করণীয়
- ব্যাকটেরিয়া Ralstonia solanacearum ও Erwinia, এবং ছত্রাক Fusarium আলু গাছকে ঢলে পড়াতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
- আলু গাছ সবুজ অবস্থায় হঠাৎ ঢলে পড়ে।
- গাছের যে কোন বয়সে এ রোগ হতে পারে।
- গাছের কোন একটি শাখা বা অংশ ঢলে পড়তে পারে।
- কান্ডের নিম্নাংশ ও শিকড় অক্ষত থাকে।
- কান্ডের ভিতরে বাদামী বর্ণের পরিবহন কলা দেখা যায়।
- আক্রান্ত গাছের কান্ডে সাদা উজ (Ooze) বের হয়।
- সংরক্ষিত আলুর চোখে সাদা পুঁজ দেখা যায়।
- বীজ আলুর ক্ষেত্রে একর প্রতি ১ গাছ আক্রান্ত হলে বীজ সংগ্রহ করা যাবে না।
আবহাওয়ার উপযোগিতা:
- তাপমাত্রা ২৮°-৩০° সেলসিয়াস এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮০-৯০% এই রোগের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে অনুকূল।
রোগের বিস্তার:
- এই ব্যাকটেরিয়া মাটিতে, আক্রান্ত আলু বা ফসলের অবশিষ্টাংশে বেঁচে থাকতে পারে এবং কৃষি যন্ত্রপাতি বা চারা সংলগ্ন মাটির মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
আগাম করণীয়:
- রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করুন।
- জমিতে শতকে ৪ কেজি ডলোচুন ও ১০০ গ্রাম ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন।
- ধানশস্য বা অন্য কোনও ফসল থেকে সুস্থ বীজ সংগ্রহ করুন।
- বীজ আলু চাষের আগে জমি ভালভাবে প্রস্তুত করুন এবং অতিরিক্ত আর্দ্র জমিতে বীজ আলু চাষ থেকে বিরত থাকুন।
- টমেটো, বেগুন, মরিচ, তামাক ইত্যাদি জাতীয় ফসল চাষ না করুন।
রোগ আক্রান্ত হলে করণীয়:
- আক্রান্ত গাছগুলি দ্রুত তুলে পুড়িয়ে বা মাটির নিচে ফেলে দিন।
- সেচ প্রয়োগ বন্ধ করুন, প্রয়োজনে সেচের আগে বালাইনাশক ব্যবহার করুন।
- আক্রান্ত গাছ এবং আশেপাশের মাটি দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নষ্ট করুন।
- ব্লিচিং পাউডার প্রয়োগ করুন এবং সেচের সময় আক্রান্ত অংশ বাদ দিন।
- ভবিষ্যতে একই জমিতে আলু বা অন্য আক্রমণপ্রবণ ফসল চাষ করবেন না।
বালাইনাশক ব্যবহার:
- BioElin, Timsen, Bahas72SP, Plantomycine10SC ইত্যাদি বালাইনাশক স্প্রে করতে পারেন।
- কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক (যেমন: Noyin, Autostin, Arba) মিশিয়ে স্প্রে করুন।
এই নিয়মগুলি মেনে চললে আলুর ঢলে পড়া রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো সম্ভব।
4o mini
Search
Popular Posts
ধান গাছে থোড় আসার আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করার গুরুত্ব কি?
ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সঠিক সময়ে পরিচর্যা করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে, থোড় আসার ৭ দিন আগে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক এবং হরমোন/ভিটামিন স্প্রে করা হলে গাছের বৃদ্ধি উন্নত হয় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়। এখানে থোড় আসার আগে স্প্রে করার কারণ ও প্রয়োজনীয়তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। থোড় আসার আগে স্প্রে করার প্রয়োজনীয়তা ১. রোগ ও পোকার…
সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে?
১. সার কী এবং এটি কীভাবে কাজ করে? সার হলো উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহকারী পদার্থ। এটি মাটিতে পুষ্টি যোগ করে, যা গাছ শোষণ করে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো উপাদান গাছের বৃদ্ধি, ফলন ও শিকড় শক্তিশালী করে। এটি মাটির উর্বরতা বাড়ায়। ২. প্রাকৃতিক সার ও রাসায়নিক সারের মধ্যে পার্থক্য কী? প্রাকৃতিক সার জৈব উৎস (গোবর, কম্পোস্ট)…
আলু গাছের স্প্রে করার নিয়ম কি কি ?
আলু গাছকে রোগ ও পোকামাকড় থেকে সুরক্ষিত রাখতে স্প্রে করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিয়ম মেনে স্প্রে করলে গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদন বাড়ে।স্প্রে করার সঠিক পদ্ধতি:গাছের কান্ড ও পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করুন:স্প্রেয়ার ব্যবহার করে এমনভাবে স্প্রে করতে হবে যাতে গাছের প্রতিটি অংশ ভিজে যায়।সকালে বা বিকালে স্প্রে করুন:দিনের ঠান্ডা সময় স্প্রে করা উচিত, যাতে…
Leave a Reply